December 22, 2024, 9:16 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন গণমাধ্যমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজ্ঞাপন। এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সোশ্যাল মিডিয়া। কারণ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের আগে অনেক তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বিনিয়োগকারীদের বেশিরভাগ সাংবাদিকতার বাইরে হওয়ায় একটি চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। দেশে গণমাধ্যমের তুলনায় বিজ্ঞাপনের পরিধিও কম, যে কারণে সংকট হচ্ছে। আমি মনে করি, গণমাধ্যমকে লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন পরিধির কথা চিন্তা করতে হবে।’
হানিফ বলেছেন, শুধু বাংলাদেশেই চাইলেই যে কোনো ধরনের সংবাদ ছাপা যায়। তারপর ভুল সংবাদ ছাপা হলে একটি ভুল প্রকাশ করলেই মাপ পেয়ে যাওয়া যায়। বাংলাদেশের গণমাধ্যম পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রের তুলনায় বেশি স্বাধীনতা পায়।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম : ভূমিকা ও সংকট’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
হানিফ বলেন, ‘গণমাধ্যম আমাদের সব খবর জানার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমরা চাই দেশের গণমাধ্যম ভালো থাকুক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমি বলব, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা পায়। চাইলেই যেকোনো খবর ছাপা যায়। কোনো ভুল তথ্য দিয়ে দিলে সেটার ক্ষমা চাইলেই শেষ, কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব বা উন্নত বিশ্বে ভুল খবরের কারণে পত্রিকার ডিকলারেশন বাতিল হয়ে যায়।’
বিবার্তা২৪ ডটনেট ও জাগরণ টিভির আয়োজনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা, ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-ডব্লিউজেএনবির সমন্বয়ক আঙ্গুর নাহার মন্টি ও বিবার্তা২৪ ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা ও সংকট উত্তরণ নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা গণমাধ্যমের সমস্যা সমাধানে একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেন।
গণমাধ্যম নীতিমালার ওপর জোর দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণমাধ্যম নীতিমালা হওয়া খুব জরুরি। তাহলে গণমাধ্যম অনেক সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদার প্রসঙ্গে টেনে হানিফ বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। অনেকে এটাকে কালো আইন বলেন, কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে যারা খারাপ কাজ করেন তাদের জন্য এটা কালো আইন।
Leave a Reply